এন এম দেলোয়ার, পিরোজপুর ॥ পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়নে এরিমধ্যে আগাম নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করে দিয়েছে। যদিও আগামী মার্চ মাসে নির্বাচন হবে বলে জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়। অবশ্য করোনার ভয়াবহতার উপরও সময়ের হেরফের হতে পারে। এদিকে আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়নের নির্বাচন বেশ জমে উঠেছে আগাম। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনা হচ্ছে। কে পাচ্ছেন নৌকার চূড়ান্ত টিকেট। আবার কে সেই সৌভাগ্যভান প্রার্থী যে নৌকার টিকেট যোগ্যতার মাপকাঠি দিয়ে ছিনিয়ে নিবে। সকল জল্পনা কল্পনার আলোচনায় একটি নাম বেশি বেশি উচ্চারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দলমত নির্বিশেষে সকলেই একসাথে স্বীকারও করেন বর্তমান সময়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে শঙ্কর প্রসাদ হালদার বেশ শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম হয়েছেন ইতিমধ্যে । সাধারণ মানুষের প্রিয় মুখ হলো বর্তমান সময়ের আলোচিত বাবু শঙ্কর প্রসাদ হালদার।এলাকার সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে অনেক কিছু তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন গণ মাধ্যম কর্মীরা। এলাকায় সরকার দলীয় প্রার্থীর তালিকায় বর্তমান চেয়ারম্যান শেখর সিকদার সহ বাবু শঙ্কর প্রসাদ হালদার ও উদীয়মান প্রার্থী মিঠুন হালদারের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে পরিবর্তনের আশা নিয়ে সমগ্র ইউনিয়নের মধ্যে একটা রব উঠেছে এবার পরিবর্তন হবে। শান্তির প্রতিক ও সাদা মনের মানুষ মাননীয় মন্ত্রী এ্যাড. শ ম রেজাউল করিমের আর্শীবাদ নিয়ে এবারের নির্বাচন হবে অবাধ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায়। দিন বদলের পালায় অতীতের কালিমাকে মুছে ফেলতে বদ্ধ পরিকর। আর সেই সূত্র ধরেই ঢাকা থেকে প্রকাশিত অন লাইন দৈনিক স্বরূপ বিন্যাশ পত্রিকার একঝাঁক সাহসী গণ মাধ্যম কর্মীরা আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতে একটা জনমত জরিপ পরিচালনা করেন গত এক সপ্তাহে ধরে । জনমত জরিপে একটা সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া গেছে আগামীর আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়নের নির্বাচন নিয়ে। জরিপে এলাকার ৮৫% ভোটাররা আগামীর নির্বাচনে নুতন মুখের প্রার্থী চায়। ৫৯% ভোটাররা বর্তমান চেয়ারম্যান কে পেতে চায়না আগামীর ইউনিয়ন পরিষদের মসনদে। তবে উদীয়মান নুতন ভোটারদের মধ্যে ৯৩% ভোটাররা এ প্রজন্মের অহংকার মিঠুন হালদারকে পেতে বেশ মরিয়া। তবে ৫৬% ভোটাররা বর্তমান সময়ে শান্তিপ্রিয় ও সাদা মনের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী বাবু শঙ্কর প্রসাদ হালদারকে চায় আগামীর জন্য। তবে ৩২% ভোটাররা বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু শেখর সিকদার কে আবারও পেতে চায়। অবশ্য জনমত জরিপে ৭৯% ভোটাররা বিগত সময়ের মত বিতর্কিত নির্বাচন চায়না। পেশী শক্তির নির্বাচন নয় বরং যোগ্য দাবিদার প্রার্থীকে ভোট দিতে চায়। অপরদিকে ৭৬% ভোটাররা প্রতিকের নির্বাচন চায়না। বরং যোগ্য প্রার্থীকে ভোট প্রদান করতে পছন্দ করেন। তবে ৩২% ভোটারদের পছন্দের নাম বর্তমান চেয়ারম্যান শেখর সিকদার। তবে ৩০% ভোটারের পছন্দ প্রতিকের পক্ষে মত দিয়েছেন। জনমত জরিপে আর একটা বিষয়ে সুস্পষ্ট মত বের হয়ে আসছে। আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়নে হিন্দু মুসলমানদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস। মুসলিম ভোটারদের সাথে কথা সহ জনমত জরিপে ৮৯% মুসলিম ভোটাররা বর্তমান চেয়ারম্যান বাবু শেখর সিকদারের নামও শুনতে চায়না। তবে ৮১% মুসলিম ভোটাররা বাবু শঙ্কর প্রসাদ হালদারকে পেতে বেশ মরিয়া। অবশ্য ৩৩% মুসলিম ভোটাররা জরিপে বলেন মুসলিম ভালো কোন যোগ্য প্রার্থী নেই বিদায় শঙ্কর প্রসাদ হালদারকে দ্বিতীয় পছন্দ। তবে এলাকায় বি এন পির শক্ত অবস্থান তৈরী করতে সক্ষম না হওয়ার মুসলিম ভোটাররা দুই ভাগে বিভক্ত। অবশ্য মুসলিম বি এন পির ভোট বেশি। আর সেই বেশির ভাগ ভোটারদের সংখ্যা শঙ্কর প্রসাদ হালদারের দিকে ঝুকছে। তবে আওয়ামী মুসলিম ভোটারদের মধ্যে ১৭% ভোটাররা বর্তমান চেয়ারম্যান শেখরের পক্ষে। তবে মজার বিষয় জনমত জরিপে শীর্ষ নেতারাও ৮০% লোকজন পরিবর্তন চায়। তবে ৩০% ভোটাররা জরিপে বলেন বর্তমান চেয়ারম্যান এবার নৌকার টিকেট পাবেন না। তবে ৪০% ভোটাররা জরিপে বলেন শেখরের শেষ ভরশা বিভাগের এক নেতার আর্শীবাদ। সর্বশেষ পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করার মধ্য দিয়ে দিনক্ষণ এগিয়ে যাচ্ছে । তবে পরিবর্তন চায় নুতন মুখের প্রার্থী কে নিয়ে। আর হোক সে শঙ্কর প্রসাদ হালদার কিংবা মিঠুন হালদার। আর সেই অপেক্ষায় ইউনিয়নবাসীরা আগামীর জন্য দিনক্ষণ গুনছে।
Leave a Reply